দৌলতখানে কলেজ ছাত্রীকে একাধিক বার ধর্ষণ- ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা


ভোলার দৌলতখানে একাদশ শ্রেণিতে পড়য়া ১ কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওই ছাত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে। অভিযুক্ত এর নাম রাজিব। তিনি উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের হারুন অর রশিদ—এর ছেলে।
এ ঘটনায় ভিকটিম কলেজ ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে দৌলতখান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রাজিব গাঢাকা দিয়েছে।
ভিকটিম কলেজ ছাত্রী ভাষ্যমতে ৮ মাস আগে একসাথে কলেজে যাওয়ার জন্য বান্ধবী তৃপ্তির ঘরে যান। এসময় বান্ধবী তৃপ্তির ভাই রাজিব ঘরে একা ছিলেন। খালি ঘর দেখে কলেজ ছাত্রী চলে আসতে চাইলে অভিযুক্ত রাজিব তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
এবং তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিম কলেজ ছাত্রী রাজিবের সাথে কোন ধরণের যোগাযোগ করতে না চাইলে ধর্ষণের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন রাজিব । পরে ধর্ষণের ভিডিও কাজে লাগিয়ে ভিকটিম কলেজ ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণ করা হয়। এতে ওই কলেজ ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পরে।
বিষয়টি রাজিবকে জানালে ফাঁকা বাসায় ডেকে নিয়ে ১ অপরিচিত মৌলভী দিয়ে বিয়ে করার নাটক তৈরী করে একটি সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়। বেশ কিছুদিন পর ভিক্টিম কলেজ ছাত্রীর অস্বাভাবিক চলাফেরা দেখে তার মা বিষয়টি জানতে চাইলে কলেজ ছাত্রী রাজিবের সাথে তার বিয়ে হয়েছে বলে জানান। পরে ওই বিষয়ে ভিকটিমের মা রাজিবের মাকে বাসায় ডেকে এনে পুরো ঘটনা জানালে তার ছেলে নির্দোষ বলে দাবি করেন।
ঘটনা ধামাচাপা দিতে ধর্ষকের মামা জাকির নিজেকে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ভিকটিমের পরিবারকে জিম্মি করে রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষক রাজিব নিজেকে বাঁচাতে মোটা অংকের টাকা দিয়ে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলকে ব্যবহার করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে দৌলতখান থানার (ওসি) বজলার রহমান জানান, কলেজ ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। প্রাথমিকভাবে তদন্তের জন্য ঘটনা স্থানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ আমলে নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
##