রাণীশংকৈলে জেলখানা নয় যেন ভূতুরে বাড়ি


ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলের পুরাতন জেলখানাটি অযত্ন আর অবহেলায় এখন যেন ভূতুরে বাড়িতে পরিণত হয়েছে । দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে অনেকেই এখন জেলখানাটি ভুতের বাড়ি নামেই চেনে। সন্ধ্যা নেমে এলেই এই পরিত্যক্ত ভবনে চলে বখাটে নেশাখোরদের আড্ডা এমন কথা জানায় এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়,সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম এইচ এম এরশাদ বিগত ৩০ বছর আগে রানীশংকৈল উপজেলায় ২০০ শত জন কয়েদির ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন মিনি সাব জেলখানা নির্মিত করেন। এরশাদের আমলে এ জেলখানাটি ব্যবহৃত হলেও পরবর্তী বিএনপি সরকারের আমলে জেলখানাটি পুরোপুরিভাবে বন্ধ হয়ে যায়।
এলাকাবাসী অনেকে অভিযোগ করে জানান,সন্ধ্যার পরে বখাটে নেশাখোর ছেলেদের আড্ডা বসে জেলখানার সামনে। সন্ধ্যার পরে জেলখানার আশেপাশে কেউ যায়না। এ ব্যাপারে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেছেন এবং জেলখানাটি পুনরায় সংস্কার করার দাবি জানান তারা।জেল সুপারের অফিস কক্ষসহ অন্যান্য কার্যক্রম পরিচালনার জন্য নির্মিত কক্ষগুলোর দরজা জানালাসহ ভবনের আস্তর ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। স্থানটি নেশার আড্ডাখানায় পরিণত হয়েছে।এ ছাড়া কারাগারটির ভেতরে ঝোপঝাড়ের সঙ্গে বিষাক্ত পোকামাকড়ের বসবাস শুরু হয়েছে। তা ছাড়াও ভবনের বিভিন্ন অংশের ইট খুলে নিয়ে গেছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা।
স্থানীয় বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘আমার জন্মের পর থেকে দেখছি কারাগারটি এভাবে পড়ে রয়েছে। এটি দ্রুত সংস্কার করা না হলে এর ক্ষয়ক্ষতি আরও হতে পারে। তা ছাড়া এত বড় স্থাপনাসহ জায়গাটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকায় রাতে এখানে খারাপ লোকজনের উপস্থিতিতে সরব থাকে।
রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবির বলেন, জেলখানার বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের একটি অধিদপ্তরে জানানো হয়েছে। জেলখানা ছাড়াও রাণীশংকৈলের সবগুলো ঐতিহ্য নিয়েই কাজ করার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে।