নন্দীগ্রামে মায়ের পরকীয়া জেনে মেয়ের আত্মহত্যা


স্বপ্নের বাংলাদেশ ডেস্ক : বগুড়ার নন্দীগ্রামে পৌর এলাকায় গলায় ফাঁস দিয়ে রাহিমা খাতুন (১৯) নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে। মায়ের পরকীয়া সইতে না পেরে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে পৌরসভার ঢাকুইর মহল্লার ফকিরপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। সে রিকশা চালক রেজাউল করিমের মেয়ে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, রাহিমার বাবা ঢাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে। তার বাবা বাড়িতে না থাকার সুযোগে আসা-যাওয়া করতো একই গ্রামের বিল্লাল হোসেন। ওই ব্যক্তির সঙ্গে তার মা শাবানা বেগম পরকীয়ায় লিপ্ত হয়। বিষয়টি জানার পর থেকেই প্রায় প্রতিদিনই মা-মেয়ের মধ্যে ঝগড়া হতো। মায়ের পরকীয়া সইতে না পেরে ক্ষোভে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে রাহিমা। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে শয়ন ঘরের সিলিং ফ্যানের রডের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে ওই শিক্ষার্থী। খবর পেয়ে পুলিশ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বলেন, ওই শিক্ষার্থীর মায়ের পরকীয়ার কারণে আত্মহত্যা করেছে বলে এমন কথা শুনা যাচ্ছে। তবে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।