রাজশাহী-৩ আসনে তৃণমূল এমপি আয়েনকে নিয়েই ভোট করতে চাই


আলিফ হোসেন, তানোর : রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) সংসদীয় আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অন্তিম মুহুর্তে রাজনীতির সব হিসাব- নিকাশ পাল্টে গেছে। আওয়ামী লীগ দলীয় সাংসদ আয়েন উদ্দীনকে (এমপি) নিয়েই তৃণমূল ভোট করতে চাই। আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা ও কর্মী-সমর্থক এবং সাধারণ মানুষ বহিরাগত নেতৃত্ব মানতে নারাজ, তারা স্থানীয় নেতৃত্ব এমপি আয়েনকে নিয়ে ভোট করার ঘোষণা দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নেমেছেন।সম্প্রতি রাজশাহীর মাদরাসা মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সেই বার্তায় দিয়েছেন রাজশাহী-৩ আসনের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষ। রাজশাহী-৩ আসনে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ এমপি আয়েনকেই প্রার্থী ধরে নিয়ে ইতমধ্যে নির্বাচনী মাঠে জম্পেশ প্রচার-প্রচারণার মধ্যদিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এমপি আয়েনের বিশাল কর্মী বাহিনী আওয়ামী লীগের উন্নয়ন-অর্জনের চিত্র ও তার যোগ্যতা তুলে ধরে সাধারণে ভোটারদের দৌড়-গোড়ায় গিয়ে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এক সময়ের তুখোড় ছাত্রনেতা, নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দা, তরুণ ও মেধাবী নেতৃত্ব গুনে এবং এলাকার উন্নয়ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে এমপি আয়েন উদ্দীন ইতমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও দলের নীতিনির্ধারণী মহলের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছেন। তিনি পরপর দুবার এমপি নির্বাচিত হবার পরে রাজনীতিতেও কৌশল ও পরিপক্কতা (বিচক্ষনতা) অর্জন করেছেন। আর তাই পরীক্ষিত ও লড়াকু এই নেতাকে (নেতৃত্ব) বঞ্চিত করে নতুন কাউকে মনোনয়ন দিয়ে ঝুঁকি নিতে চাচ্ছেন না দলের হাইকমান্ড বলে অভিমত অভিজ্ঞ মহলের। আবার তাঁর নেতৃত্ব গুনে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় একাধিকবার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী দলীয় কর্মসূচি ও জনসভায় অংশগ্রহণ করেছেন। সেই ধারাবাহিকতায় তাঁর আহবান ও প্রচেষ্টায় তার নির্বাচনী এলাকায় প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার সফর করেছেন। এবং আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় অংশগ্রহণ করে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়েছেন। একজন এমপির ওপর প্রধানমন্ত্রীর আস্থা না থাকলে সেই এমপির নির্বাচনী এলাকায় সাধারণ তো একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী আসে না। আর প্রধানমন্ত্রীর একাধিকবার আগমণ এটা স্পস্ট হয়ে উঠেছে এমপি আয়েন উদ্দিন আবারো দলীয় মনোনয়ন পাচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত বলে মনে করছেন সচেতন। মহল। এসব বিবেচনায় আওয়ামী লীগ দলীয় মনোনয়ন দৌড়ে অন্যদের থেকে এমপি আয়েন অনেকটা এগিয়ে থেকে নির্ভার রয়েছেন। আবার এই নির্বাচনী এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা হিসেবে তিনি অন্যদের থেকে অনেক বেশি সুবিধাজনক অবস্থায় রয়েছেন। আর নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষ বহিরাগত কোনো প্রার্থীকে সহজে গ্রহণ করবে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষক মহলের ভাষ্য, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সাংসদ আয়েন উদ্দীন (এমপি) এখানো আওয়ামী লীগের তৃণমূলে পচ্ছন্দের শীর্ষে রয়েছে তাকে ঘিরে জমে উঠেছে আওয়ামী লীগের তৃণমূলে রাজনীতি। এদিকে মনোনয়ন নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে সাংসদ আয়েন উদ্দীন এগিয়ে রয়েছেন আবারো তাঁর ওপরই ভরসা রাখছে আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে বহিরাগত কোনো নেতৃত্ব বা প্রার্থীকে এই এলাকার সাধারণ মানুষ কখনই তাদের নেতা হিসেবে মেনে নিবেন না এমন কথা নির্বাচনী এলাকার প্রায় প্রতিটি মানুষের মূখে মূখে প্রচার হচ্ছে। তবে নির্বাচনী এলাকায় বহিরাগত পদপদবী-হীন বিপদগামী কতিপয় বাদুড় রুপী এক বগী নেতা মাঝে উঁকিঝুঁকি দিলেও তৃণমুলের সাড়া না পেয়ে রণেভঙ্গ দিয়েছে। সূত্র জানায়, সম্প্রতি রাজশাহী মাদরাসা মাঠে আওয়ামী লীগের ঐতিহাসিক মহা- সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দলের সিনিয়র নেতাগণ এমপিদের প্রতি আস্থা রাখার পাশপাশি নেতাদের তৃণমূলের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। সুত্র জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে এখানে ফের এমপি আয়েন উদ্দীনকেই আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী করার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে বলে একটি বিশস্ত সূত্র এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।এদিকে রাজশাহী মাদরাসা মাঠের ঐতিহাসিক মহা-সমাবেশের পর পরই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নাটকিয় পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। তৃণমূলের অভিমত. এতোদিন যারা এমপি হবার খোয়াব দেখে নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করতে মরিয়া ছিল তারাও রণেভঙ্গ দিয়েছে। আবার এমপি আয়েনের বিকল্প নেতৃত্বের সন্ধানে তৃলমূলের যেসব নেতাকর্মী এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করে বস্ত সময় পার করেছে। মহা-সমাবেশের পরে তারাও বুঝতে পেরেছে এখানে এমপি আয়েনের কোনো বিকল্প নাই, তাই তারাও সব মান-অভিমান, ক্ষোভ- অসন্তোষ ভূলে ও দলীয় স্বার্থকে প্রধান্য দিয়ে এমপির প্রতি ঝুকছেন, আবার এমপিও তাদের সাদরে গ্রহণ করছেন। ফলে নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিন বিরাজমান মতবিরোধ, মান-অভিমান ও ঐক্য প্রশ্নের বরফ গলতে শুরু করেছে। এখন তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও এটা বুঝতে সক্ষম হয়েছেন পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে তাদের মধ্যে মান-অভিমান থাকবে সেটাই স্বাভাবিক, আবার নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে এমপি আয়েনের কোনো বিকল্প নাই এটাও সত্য। এসব বিবেচনায় তৃণমূলের নেতা ও কর্মী-সমর্থকগণ ফের এমপি মূখী হয়েছেন। আর এতেই এমপি আয়েন বিরোধী শিবিরের নেতারা রণেভঙ্গ দিয়েছে । জানা গেছে, নবীন, তরুণ ও মেধাবী নেতৃত্ব হিসেবে এমপি আয়েন উদ্দীন নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি নিজস্ব অবস্থান গড়ে তোলেছেন। নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের তৃণমূলে ক্ষমতার ভাভাভাগী ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্ত্ত রাজশাহীর ঐতিহাসিক মহা-সমাবেশের পর জাতীয় ও দলীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে, ব্যক্তি স্বার্থ উপেক্ষা করে নেতাকর্মীরা ফের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এমপিমুখী হয়েছে। এমপি আয়েন উদ্দীনের ওপর ভরসা ও আস্থা রেখেই আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নীতিনির্ধারক ও জৈষ্ঠ নেতারা তৃণমূলের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ, গণসংযোগ, বর্ধিত এবং কর্মীসভা করে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ফলে দীর্ঘদিন পর নির্বাচনী এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকগন আবারও চাঙ্গা হয়েছে উঠেছে। রাজনীতিতে হয়েছে নাটকীয় পরিবর্তন ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য। সাংগঠনিক কর্মকান্ড প্রতিনিয়ত জোরদার হচ্ছে। এদিকে এমপি আয়েন উদ্দীনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সৃষ্টি হয়েছে গণজোয়ার। রাজশাহী-৩ মোহনপুর-পবা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে এখন বইছে ঐক্যর হাওয়া। আওয়ামী লীগের ঐক্যের প্রশ্নে নেতাকর্মীদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরাজমান মান-অভিমান, ক্ষোভ-অসন্তোস ও মতবিরোধের বরফ গলতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিনের বিবাদমান ভিন্ন ধারার নেতাকর্মীরাই এখন ঐক্যের অপরিহার্যতা অনুধাবন করে পরস্পরকে কাছে টানতে শুরু করেছে। নেতাকর্মীদের দাবী অতীতের বিভেদ ভুলে দলকে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের সুদৃঢ় ভিত্তির ওপর দাঁড় করাতে হবে। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ হওয়ায় এই অঞ্চলে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে নাটকীয় পরিবর্তন ও ফিরেছে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে গণজোয়ার। আবার নবীন, তরুণ, মেধাবী, রাজনৈতিক দূরদর্শীতা সম্পন্ন বিচক্ষন, কর্মী-জনবান্ধব ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে দলমত নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছে এখানো সমান জনপ্রিয়-সমাদৃত এমপি আয়েন উদ্দীন। এছাড়াও আওয়ামী লীগের যা উন্নয়ন ও অর্জন তাতে আবারো আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করবেন এটা প্রায় নিশ্চিত। তাহলে বিরোধী মতের প্রার্থীকে কোনো সাধারণ মানুষ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন ?। এসব বিবেচনায় আওয়ামী লীগ আবারো এমপি আয়েন উদ্দিনের ওপরই আস্থা ও ভরসা রেখেছেন বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। এব্যাপারে মোহনপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান এ্যাডঃ আব্দুস সালাম বলেন, এখানে তরুণ ও মেধাবী নেতৃত্ব হিসেবে এমপি আয়েন উদ্দীনের কোনো বিকল্প নাই এবং মোহনপুর-পবা উপজেলার মানুষ বহিরাগত কোনো নেতৃত্ব মেনে নিবো না। তিনি বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি আয়েন উদ্দিনের ওপরেই আস্থা-ভরসা রাখবেন আওয়ামী লীগ এটা প্রায় নিশ্চিত।#