ঘর পেয়ে হাসি ফুটেছে অসহায় নারী সাগরিকার


কচুয়া সংবাদদাতা###
সাগরিকা বেগম। এক অসহায় নারী। কর্মহীন স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে ভাঙ্গা একটি ছনের ঘরে দীর্ঘদিন কষ্টে জীবন যাপন করে আসছিলেন। কিছুটা জায়গা থাকা সত্ত্বেও সামর্থ্য ও অর্থ না থাকায় বৃষ্টিতে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কষ্টে বসবাস করে আসছিলেন তারা। নতুন একটি ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠেন সাগরিকা বেগম ও তার পরিবার। বলছিলাম চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার গুলবাহার মিয়াজী বাড়ির অধিবাসী অসহায় নারী সাগরিকা বেগমের কথা। একটু বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস আসলে ওই গৃহে বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়ে। দীর্ঘদিন ভাঙ্গা ছনের ঘরে স্বামী ও সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন সাগরিকা বেগম। বৃদ্ধ কর্মহীন স্বামী সিএনজি চালক কবির হোসেন মিয়াজী বয়সের ভারে এখন আর তেমন একটা কাজ করতে কিংবা সিএনজি চালাতে পারে না। জীবনের সাথে যুদ্ধে করে অনেক কষ্টে জীবন অতিবাহিত করেন তারা। এমন অসহায়ত্বেও কথা শুনে পাশে দাড়াঁলেন জীবন চৌধুরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট শিল্পপতি ফয়সাল চৌধুরী জীবন। সংবাদ পেয়ে ফয়সাল চৌধুরী জীবন ও ইউপি চেয়ারম্যান নূরে-ই আলম রিহাত সরেজমিনে ওই অসহায় পরিবারের বাড়িতে ছুটে যান। প্রতিশ্রুতি দেন, কিছুদিনের মধ্যে একটি নতুন গৃহ নির্মান করে দেয়ার। প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রায় আড়াই লক্ষ টাকা ব্যয়ে একটি টিনের ঘর নির্মান করে দেয়া হয় সাগরিকা বেগম ও তার পরিবারকে। ঘর পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হয়ে পড়েন ওই অসহায় পরিবারটি। অসহায় নারী সাগরিকা বেগম জানান, আমার এক ছেলে ও স্বামী নিয়ে দীর্ঘদিন একটি ভাঙ্গা ঘরে বসবাস করছিলাম। স্বামী বৃদ্ধ ও ছেলে কর্মহীন হওয়ায় ঘর করার সামর্থ্য ছিলো না আমাদের। এ সংবাদ পেয়ে গুলবাহার গ্রামের অধিবাসী ফয়সাল চৌধুরী জীবন আমাদের একটি ঘর নির্মান করে দেন। আমরা খুবই খুশি এবং তার প্রতি অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নূরে-ই আলম রিহাত জানান, আমাদের গ্রামের মধ্যে ওই পরিবারটি খুবই অসহায় একটি পরিবার। চৌধুরী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ফয়সাল চৌধুরী জীবন ওই অসহায় নারীকে ব্যক্তিগত অর্থায়নে সুন্দর একটি ঘর নির্মান করে দেন। এভাবে তিনি প্রায় অর্ধশতাধিক গরীব ও অসহায়দের বসতঘর নির্মান করে দিয়েছেন।