সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা ও বাল্য বিবাহ দেওয়া সেই ভুয়া কাজী আটক
জহিরুল ইসলাম, যশোর প্রতিনিধি
আপডেটঃ ১৬ মার্চ, ২০২৩ | ৯:৫৯
26 ভিউ
যশোর জেলার সদর উপজেলার কাশিমপুর ইউনিয়নের আলোচিত ভুয়া কাজী সরকারি আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালীকে ম্যানেজ করে একাধিক বাল্যবিবাহ পড়ানোর ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত হাফেজ মাওলানা শহিদুল ইসলামকে (৫০) গ্রেফতার করেছে। যশোর কোতোয়ালি থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
তিনি সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মোল্লাপাড়ার মৃত মানিক মোল্লার ছেলে। এরআগে তিনি এক সাংবাদিককে হাত-পা ভেঙে ও কেটে প্রাণনাশের হুমকি দেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়-শহিদুল ইসলাম কাশিমপুর ইউনিয়নের রেজিস্টার কাজী আব্দুল্ হাই সিদ্দিকী র সহকারী কাজী পরিচয় দিয়ে অধিকাংশ বাল্য বিয়ের কাজ করেন। শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে মোটা অংকের টাকা নিয়ে একাধিক বাল্যবিয়ে পড়ানো ও ভুয়া কাবিননামা দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
তবে তিনি কাবিননামা দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে স্থানীয়দের দাবি এই ভুয়া কাজী অসংখ্য বাল্যবিয়ে পড়িয়ে হাতিয়েছেন লাখ লাখ টাকা।
এক ১৩ বছরের কিশোরী অঞ্জলিকে ২০২০ সালের ১৬ মে বিয়ে দেন। বিষয়টি ফাঁস হয়ে পড়লে মামলাটির বাদিসহ তিন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী সংবাদ সংগ্রহে ওই এলাকায় যান। ওই সময় অভিযুক্ত মাও. শহিদুল ইসলাম তার পোষ্য সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাদের ওপর হামলা করে।
তখন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীরা ৯৯৯-এ কল করলে পুলিশ এসে সাংবাদিকদের উদ্ধার করেন কিন্তু শহিদুল ইসলাম দালালচক্রের মাধ্যমে প্রচার দেয় তার কাছে সাংবাদিকরা চাঁদা দাবি করেন। যারপ্রেক্ষিতে স্থানীয়রা হামলা করে। পরে শহিদুল ইসলাম তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন দিয়ে মামলার বাদিকে মারপিট খুন জখমসহ প্রাণনাশের হুমকি দেন। এঘটনায় যশোর কোতয়ালী থানায় একটি জিডি হয়।
এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার এসআই মিজান জানান-আসামি শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোর্টের একটি ওয়ারেন্ট ছিল। ওয়ারেন্টভুক্ত আসামির পিতার নাম ভুল থাকায় তিনি প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। পরে উদ্বর্তন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে ও কাগজপত্র যাচাই-বাছাই শেষে মঙ্গলবার শহিদুল ইসলামককে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়।