রাণীনগরে চলাচলের রাস্তায় বাঁশের বেড়া দেওয়ার অভিযোগ


নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার পশ্চিম বালুভরা গ্রামে দু’পাশে বাঁশের বেড়া দিয়ে এবং গাছ লাগিয়ে চলাচলের রাস্তার সংকুচিত করার অভিযোগ ওঠেছে।
ফলে ওই রাস্তা দিয়ে প্রায় ১৫দিন ধরে গাড়ী চলাচল করতে পারছেনা।এতে প্রায় ওই গ্রামের ৬ঘর বাসিন্দা চরম দূর্ভোগে পড়েছে।
সুষ্ঠু সামাধান পেতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের সুপারিশ নিয়ে গ্রামবাসির পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জানাগেছে,উপজেলার পশ্চিম বালুভরা থেকে মাটির রাস্তা বাহাদুরপুর সংযোগ সড়কে মিলিত হয়ে হেলীপ্যাডের পাশ দিয়ে বয়ে চলা রাণীনগর-বাহাদুরপুর রাস্তার সাথে মিলিত হয়েছে।
হঠাৎ করেই গত ১৫ দিন আগে ওই গ্রামের খয়ের আলীর ছেলে মন্টু হোসেন ও ছবেদ আলীর ছেলে সাহার আলী রাস্তার দুই পাশ দিয়ে গাছ রোপন করে। এর পর হেঁটে চলাচল করার রাস্তার রেখে বাঁশের বেড়া দিয়ে সংকুচিত করেছে। ফলে ওই রাস্তা দিয়ে কোন গাড়ী চলাচল করতে পারছে না।
বেড়া দেয়ার সময় স্থানীয়রা নিষেধ করলেও তা শোনেনি। স্থানীয়ভাবে চেষ্টা করেও সমাধান হয়নি। ফলে গাড়ী চলাচল করতে না পারায় রিক্সা/ভ্যান শ্রমিকরা পরেছেন চরম বেকায়দায়।
এঘটনার সুষ্ঠু প্রতিকার চেয়ে গ্রামবাসির পক্ষ থেকে কমলা বেগম নামে এক নারী গত ২৯ আগষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগকারী কমলা বেগম বলেন,পশ্চিম বালুভরা গ্রামে বসতি গড়ে ওঠা থেকে ওই রাস্তা দিয়ে লোকজন চলাচল করে। হঠাৎ করেই সেই রাস্তায় বেড়া দিয়ে সংকুচিত করে ফেলেছে। আমরা তাদেরকে বার বার অনুরোধ করেছি রাস্তায় বেড়া না দিতে কিন্তু তারা শোনেননি।
গাড়ী চলাচল করতে না পারায় আমরা চরম দূর্ভোগে আছি। যে কারনে সুষ্ঠু সমাধান পেতে লিখিত অভিযোগ করেছি।
গ্রামের ভ্যান চালক গুলজার হোসেন বলেন,বাঁশের বেড়া দিয়ে রাস্তা সংকুচিত করার কারনে বাড়ীতে ভ্যান নিয়ে যেতে পারছিনা। ফলে রাণীনগর গ্যারেজে ভ্যান রেখে ওই গ্রামের ভ্যান চালকদেরকে বাড়ীতে যেতে হচ্ছে এবং কোন মালামাল পরিবহন করতে পরছেননা। দ্রæত এই সমস্যার সমাধান চেয়েছেন তারা।
ওই ওয়ার্ডের মেম্বার বাবলু হোসেন বলেন,স্থানীয়ভাবে সমাধান না হওয়ায় তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্ত মন্টু হোসেন বলেন,অভিযোগকারীরা আমাদের পারিবারিক কবরস্থানের মধ্য দিয়ে চলাচলের রাস্তা তৈরি করেছে। আমরা প্রায় দুই বছর ধরে নিষেধ করে আসছি কিন্তু তারা কোনভাইে শোনেনি। ফলে কবর রক্ষার্থে বেড়া দিয়েছে।
রাণীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, ঘটনা তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু সমাধান করা হবে।
##