রাজশাহীর পদ্মায় নৌকা ডুবি নিখোঁজ তিন,জেলা প্রশাসকের ঘটনাস্থল পরিদর্শন


রাজশাহীর পদ্মায় প্রবল স্রোতে দুইটি নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। তাতে নিখোঁজ হয়েছেন তিনজন। রোববার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে নগরীর সাতবাড়িয়ার মিজানের মোড় বালুরঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ রয়েছেন- সাদেক আলী (৫৫), নজরুল ইসলাম (৫০) ও গোলাম নবী (৬০)। গোলাম নবীর বাড়ি নগরীর মতিহার থানার ডাঁশমারী সাতবাড়িয়া এলাকায়। অন্য দুজনের বাড়ি মিজানের মোড় এলাকায়। এছাড়া জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হওয়া তিনজন হলেন- সেন্টু মিয়া (২৫), আব্দুস সালাম (৩০) ও আনারুল ইসলাম (৪৮)। নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। নিয়ে ডুবে যায় ঘাসবোঝাই আরেকটি নৌকা। ফায়ার সার্ভিস ও বিজিবি সদস্যরা তাদের দ্রুত উদ্ধার করেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দফতরের উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন জানান, সকাল ৭:৫০ মিনিটে আমাদের কাছে নৌকাডুবির খবর আসে। ৭:৫৫ মিনিটে রওনা হন উদ্ধার কর্মীরা। পদ্মার ওপার থেকে মিজানের মোড় বালুঘাটে আসছিল খড়বোঝাই নৌকাটি। তাতে ২০ জন আরোহী ছিল। প্রবল স্রোতে নৌকাটি ডুবে যায়। এতে ১৬ আরোহী সাঁতরে পাড়ে ফিরলেও তিনজন তলিয়ে যান। এই অভিযানে চারজন ডুবুরি অভিযানে আছেন। সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল। এসময় নিখোঁজ তিনজনের উদ্ধার তৎপরতা সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেন। নিখোঁজদের দ্রুত সময়ের মধ্যে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। পরে পদ্মায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলেন এবং তাদেরকে শান্তনা দেন। তাদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে সকলে ধৈর্য্য ধারণ করার জন্য অনুরোধ জানান জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, এমন দুর্ঘটনা খুবই মর্মস্পর্শী। এই ঘটনায় কোনো প্রাণহানি ঘটলে তিনি সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে বলে সংশ্লিষ্টদের আশ্বস্ত করেন। এসময় রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, আজকে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে পদ্মায় নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। স্রোতের কারণে নদীর মাঝামাঝি এসে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। এজন্য সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে নৌ-যান পরিচালনা করতে হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরী, পবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লসমী চাকমা, পবা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) অভিজিত সরকার, হরিয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মফিদুল ইসলাম বাচ্চু।