রাজশাহীতে গ্রাহকের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা ভুয়া এনজিও


রাজশাহীর বাগমারায় গ্রাহকদের অর্ধকোটি টাকা নিয়ে একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) লাপাত্তা হয়েছে। ভুয়া প্রতিষ্ঠানের খপ্পরে পড়ে পাঁচ শতাধিক গ্রাহক প্রতারিত হয়েছেন। এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন করেছেন ভুক্তভোগীরা। জানা গেছে, এক মাস আগে বাগমারা উপজেলায় ‘মৈত্রী সংস্থা’ নামে একটি এনজিও কার্যক্রম শুরু করে। উপজেলা সদরের ভবানীগঞ্জের চানপাড়ায় অফিস খুলে কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করেন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। অফিসের সামনে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে গোটা উপজেলায় কার্যক্রম শুরু করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা গ্রামে গ্রামে ঘুরে নিজেদেরকে নিবন্ধিত সংগঠনের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে সদস্য সংগ্রহ করেন। ভালো বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে স্থানীয় কিছু নারীকর্মীও নিয়োগ দেন তারা। সদস্যদের এলাকার উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা ছাড়াও নামমাত্র সুদে মোটা অংকের ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হয়। এজন্য প্রতি গ্রাহকের কাছ থেকে জামানত হিসেবে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা নেয়া হয়। টাকা নেয়ার এক মাস পরেই গ্রাহকদের ঋণ প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে। মঙ্গলবার গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার জন্য বাগমারার অফিসে ডাকা হয়। সকালে গ্রাহকরা সংস্থার চানপাড়ার কার্যালয়ে এসে তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। এরপর প্রতারিত গ্রাহকদের একটি অংশ স্থানীয় ভবানীগঞ্জ পৌরসভার মেয়রের কাছে গিয়ে নিজেদের প্রতারিত হওয়ার কথা জানান এবং জামানতের টাকা ফেরতের ব্যবস্থার দাবি জানান। মেয়র ভুক্তভোগীদের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেন। পরে ভুক্তভোগী গ্রাহকরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। ভুক্তভোগী গ্রাহক ময়না খাতুন জানান, অনেক কষ্টে জমানো টাকা মৈত্রীর কর্মকর্তাকে দিয়েছিলেন। মোটা অংকের ঋণ পাবেন এমন আশায় তিনি টাকা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন। এ বিষয়ে ঐ সংস্থার কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া হাসান আলীর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদা খানম অভিযোগ পাওয়ার বিষয় নিশ্চিত করে জানান, তিনি খোঁজ নিয়ে জেনেছেন ঐ সংস্থার কোনো নিবন্ধন নেই। প্রতারকদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে