মেসিকে রাজি করাতে সাবেক ফুটবলারের দ্বারস্থ মিয়ামি


পিএসজির সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ এখনও পুরোয়নি আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসির। তবে এরই মধ্যে তাকে দলে ভেড়াতে বেশ তৎপরতা শুরু করেছে আমেরিকান মেজর সকার (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মিয়ামি। এর আগে তারা বলেছিল, যদি মেসিকে পিএসজি থেকে আমেরিকায় নিতে ক্ষতিপূরণের প্রয়োজন হয়, মিয়ামি সেটিও দিতে রাজি। এমনকি এক্ষেত্রে মেসি ও তার পরিবারের চাহিদাকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
মিয়ামি হয়তো মেসির পরবর্তী গন্তব্য হতে যাচ্ছে। সে লক্ষ্যেই তারা সবরকম পরিকল্পনা সাজাচ্ছে। গুঞ্জন রয়েছে, সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসির সঙ্গে পিএসজির সম্পর্কের ইতি ঘটবে চলতি মৌসুমেই। মেসিও পিএসজি ছাড়তে চান বলে আলাপ শোনা যায়। এর আগে তিনি পিএসজির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা পছন্দ হয়নি দাবি করে পিএসজি ছাড়তে পারেন বলে খবর বেরোয়। তবে মেসির সাম্প্রতিক সময়কার কথাবার্তায় মনে হচ্ছে তিনি আরও একটি মৌসুম ফরাসি ক্লাবটিতে কাটাতে চান। এজন্য প্রয়োজনে তিনি ক্লাব কর্তৃপক্ষকে কিছু শর্ত জুড়ে দিতে পারেন।
এদিকে, মেসি নাসের আল খেলাইফির ক্লাব ছেড়ে যাবেন- এই প্রত্যাশায় দিন গুণছেন মিয়ামি কর্মকর্তারা। তবে মিয়ামিতে মেসির যোগ দেওয়ার পথে সবচেয়ে বড় বাধা হিসেবে দেখা হচ্ছে অর্থনৈতিক সীমাবদ্ধতাকে। তা সত্ত্বেও ক্লাবটিতে যোগ দিতে মেসির ইচ্ছা থাকলে মিয়ামি অর্থনৈতিক বাধাও মোকাবিলা করতে চায়। তবে তাদের লক্ষ্য ২০২৬ বিশ্বকাপের আগেই মেসিকে দলে ভেড়ানো।
এমএলএস কমিশনার ডন গারবার মেসিকে ক্লাবে সাইন করাতে চাইলে মিয়ামিকে আরও সৃজনশীল হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি কৌশলও বাতলে দিয়েছেন ক্লাবটিকে। তার মতে, সাবেক ইংলিশ ফুটবলার ডেভিড বেকহামের শরণাপন্ন হলে মেসিকে রাজি করানোর একটি সুযোগ রয়েছে। পিএসজির সাবেক ওই ফুটবলারের মাধ্যমে তুলনামূলক স্বল্প বেতনের মধ্যে মেসিকে রাজি করানো সম্ভব বলেও মনে করেন গারবার। কেননা সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেকহাম বর্তমানে মিয়ামির সঙ্গে কাজ করছেন, বর্তমানে যার আর্থিক মূল্য ৬০০ মিলিয়ন ডলার।
ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক এই কিংবদন্তী ফুটবলার ৫ বছরের চুক্তিতে মেজর সকারে আসেন। সে সময় তার ভিত্তিমূল্য ছিল মাত্র ৩০ মিলিয়ন ডলার। পরবর্তীতে নিজের ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের জন্য তিনি সেই দর ২৫ মিলিয়ন ডলারে কমিয়ে আনেন।