তিতাসে মাথায় পিস্তল ঠেকিয় স্টাম্পে সই


তিতাসে মোঃ শাহজালাল নামে একজনকে অপহরণ করে স্ট্যাম্পে সই নিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ৫ মার্চ দুপুর তিনটায় তিতাস উপজেলার বালুয়াকান্দি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ভিকটিম শাহজালালের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ৫ মার্চ রবিবার দুপুর ৩ টায় একটি অপরিচিত নম্বর থেকে আসে। তার নাম রাহাত আলী পরিচয় দিয়ে বলে ভাই ফ্রিজ ঠিক করতে পারবেন? কথাবার্তা বলে ঠিক হয় শাহজালাল বালুয়াকান্দি গ্রামে ফ্রিজ ঠিক করতে যাবে। কথামত যায়ও সে। যাওয়ার পর রাহাত আলী,বাবু, নাঈমসহ ১০-১২ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল তাকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে চোখ বেঁধে দাউদকান্দির ভাজরা গ্রামে নিয়ে হাত পাঁ বেঁধে মারধর করে এবং একটি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। সকলেই চাপ প্রয়োগ করতে থাকে তার আগের বউ ভাজরা গ্রামের নাজির হোসেন ও রাবেয়া বেগমের মেয়ে মোসাম্মৎ জিয়াসমিনকে(জুই) পুনরায় স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করতে চাপ দেয়। পরে তাকে মারাত্মক আহত করে রাত ১২ টায় কুমিল্লা খ ১২-৯৭৩০ নম্বরের সিএনজি যোগে নন্দীরচর শাহজালালের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এই বিষয়ে শাহজালাল বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি দাউদকান্দি ও তিতাস থানায় অভিযোগ করেছি। এ বিষয়ে নন্দীরচর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বলেন আমরা উভয়পক্ষে সম্মতিক্রমে গ্রাম্য শালিশির মাধ্যমে তাদের তালাক হয়। এখন জিয়াসমিন(জুই) শাহজালালের সংসারে আসতে চায় কিন্তু শাহজালাল দ্বিতীয় করে ফেলে এবং সে ১ম স্ত্রীকে আনতে নারাজ। তাই শাহজালালের ১ম স্ত্রী (তালাক প্রাপ্ত) সন্ত্রাসি দিয়ে পূর্ব পরিকল্পনা মোবাতেক মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে অপরহরণ করে ভাজরা নিয়ে যায়। আমি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তার সুষ্ঠ বিচার দাবি করছি এবং আস্ত্রধারি সন্ত্রাসিদে দ্রুত গ্রেফতার দাবি করছি। এ বিষয়ে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুধীন চন্দ্র দাস বলেন,শাহজালাল নামে একজন তিতাস থানায় এবং দাউদকান্দি থানায় দুটি অভিযোগ করেছে। যেহেতু ঘটনাস্থল ভাজরা দাউদকান্দি সেহেতু আমাদের অভিযোগের আর কার্যকারিতা থাকে না। তবুও আমরা প্রাথমিক তদন্ত করেছি। আমাদের কাজ শেষ।